কক্সবাজার জেলার মৎস্য সম্পদ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের বিবরণঃ
কক্সবাজার জেলার সাধারন তথ্যঃ
১। জেলার মোট আয়তন ঃ ২,৪৯১.৮৬ বর্গ কিলোমিটার।
২। জনসংখ্যা ঃ ২২,৮৯,৯৯০ জন (২০১১খ্রিঃ)।
৩। উপজেলা ঃ ০৮ (আট) টি।
৪। ইউনিয়ন ঃ ৭২ টি।
৫। পৌরসভা ঃ ৪ টি।
কক্সবাজার জেলার মৎস্য সম্পদঃ
মৎস্য সম্পদের বৈচিত্র্য ও প্রাচুর্য্যের দিক থেকে কক্সবাজার অত্যমত্ম গুরম্নত্বপূর্ণ। বিসত্মীর্ণ বঙ্গোপসাগরের বিপুল লবণাক্ত জলরাশির পাশাপাশি উপকূলীয় অর্ধ-লবণাক্ত পানি এবং আভ্যমত্মরীণ জলাশয়ের স্বাদু পানির সম্মিলিত উপস্থিতির ফলে এ জেলা সব ধরনের মাছের বিচরণক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত।
কক্সবাজার জেলায় মৎস্য সম্পদ সম্পর্কিত উপাত্তঃ
২) অর্ধ-নিবিড় খামারে = ২-৩ টন/একর (বার্ষিক)।
খ. কক্সবাজার জেলার মৎস্য ও চিংড়ি উৎপাদন/আহরণের তথ্য ঃ
কক্সবাজার জেলায় বার্ষিক মৎস্য উৎপাদনের মোট পরিমাণ ঃ ২,৪৯,০০০ মেট্রিক টন।
সামুদ্রিক উৎস থেকে মৎস্য আহরণের পরিমাণ ঃ ১,৪০,০০০ মেট্রিক টন।
চিংড়ির মোট উৎপাদন ঃ ২৫,০০০ মেট্রিক টন।
আভ্যমত্মরীণ জলাশয় থেকে মৎস্য আহরণ ঃ ৩৮,০০০ মেট্রিক টন।
কক্সবাজার জেলায় ইলিশ আহরণের বার্ষিক পরিমাণ ঃ ৩৫,৮০০ মেট্রিক টন।
কক্সবাজার জেলায় মৎস্যের বার্ষিক চাহিদা = প্রায় ৬০,০০০ টন ।
কক্সবাজার জেলায় ২০২০-২১ সালে চলতি ডিসেম্বর ২০২০ খ্রি. মাস পযন্ত সময়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদনা চুক্তি
(Annual Performance Agreement) বাসত্মবায়নের অগ্রগতিঃ
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি(Annual performance Agreement, APA) |
||||||||||||
জেলা |
|
প্রদর্শণী খামার স্থাপন (হে:) |
আবাসস্থল উন্নয়ন (হে:) |
বিল নার্সারী |
উম্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মজুদ (মে. টন) |
মৎস্যচাষী,মৎস্যজীবী, উদ্দোক্তদের পুকুর পরিদর্শন ও পরামর্শ প্রদান |
হ্যাচারি নিবন্ধন ও নবায়ন (টি) |
মৎস্য খাদ্যমান পরীক্ষা (টি) |
মৎস্য অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনা (টি) |
মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে আইন বাস্তবায়ন (টি) |
পরিবেশ সহনশীন মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ (টি) |
এসপিএফ (SPF) চিংড়ি পোনা উৎপাদন/সরবরাহ (কোটি) |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
1 |
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
৬ |
৭ |
৮ |
৯ |
১০ |
১১ |
সদর |
লক্ষ্যমাত্রা |
১.২৫ |
0.000 |
০.০০ |
0.270 |
২২০ |
১৫ |
৪ |
০ |
৩৫ |
0 |
0.000 |
অর্জন |
০.০০ |
0.000 |
0.00 |
0.000 |
২৪ |
০ |
১ |
০ |
২ |
০ |
0.000 |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
০.০০ |
0.000 |
0.00 |
0.255 |
১০৬ |
৫ |
২ |
০ |
৩২ |
০ |
0.000 |
|
চকরিয়া |
লক্ষ্যমাত্রা |
1.25 |
0.500 |
0.50 |
0.280 |
২৩০ |
৫ |
৪ |
১ |
৩০ |
১ |
0.000 |
অর্জন |
0.00 |
0.000 |
0.00 |
0.000 |
১৬ |
১ |
২ |
০ |
২ |
০ |
0.000 |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
০.০০ |
0.000 |
0.00 |
0.278 |
১০০ |
২ |
২ |
০ |
১৬ |
০ |
0.000 |
|
মহেশখালী |
লক্ষ্যমাত্রা |
1.00 |
0.500 |
0.00 |
0.190 |
২২০ |
০ |
৪ |
০ |
৩৫ |
০ |
0.000 |
অর্জন |
০.০০ |
0.000 |
0.00 |
0.000 |
৩০ |
০ |
০ |
০ |
৩ |
০ |
0.000 |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
০.০০ |
0.000 |
0.00 |
0.196 |
১১৪ |
০ |
১ |
০ |
২৫ |
০ |
0.000 |
|
টেকনাফ |
লক্ষ্যমাত্রা |
১.০০ |
0.000 |
0.00 |
0.270 |
২২০ |
০ |
৪ |
০ |
৩৫ |
০ |
0.000 |
অর্জন |
০.০০ |
0.000 |
0.00 |
0.000 |
১৯ |
০ |
০ |
০ |
৩ |
০ |
0.000 |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
০.০০ |
0.000 |
0.00 |
0.212 |
১০৫ |
০ |
০ |
০ |
২০ |
০ |
0.000 |
|
পেকুয়া |
লক্ষ্যমাত্রা |
১.২৫ |
0.500 |
0.50 |
0.270 |
২০০ |
০ |
৪ |
০ |
৩০ |
০ |
0.000 |
অর্জন |
০.০০ |
0.350 |
0.00 |
0.000 |
২০ |
০ |
০ |
০ |
৩ |
০ |
0.000 |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
০.০০ |
0.350 |
0.00 |
0.348 |
১০৮ |
০ |
২ |
০ |
২৬ |
০ |
0.000 |
|
উখিয়া |
লক্ষ্যমাত্রা |
1.25 |
0.000 |
0.00 |
0.250 |
২০০ |
১৯ |
৪ |
০ |
৩০ |
০ |
20.000 |
অর্জন |
০.০০ |
0.000 |
0.00 |
0.000 |
১৬ |
০ |
০ |
০ |
৬ |
০ |
0.000 |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
০.০০ |
0.000 |
0.00 |
0.223 |
১০১ |
৮ |
০ |
০ |
২৮ |
০ |
14.890 |
|
রামু |
লক্ষ্যমাত্রা |
1.00 |
0.000 |
0.00 |
0.260 |
১৮০ |
১ |
৩ |
০ |
২০ |
০ |
0.000 |
অর্জন |
০.০০ |
0.000 |
0.00 |
0.000 |
২১ |
০ |
০ |
০ |
৪ |
০ |
0.000 |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
০.০০ |
0.000 |
0.00 |
0.223 |
১১৫ |
০ |
০ |
০ |
১৫ |
০ |
0.000 |
|
কুতুবদিয়া |
লক্ষ্যমাত্রা |
1.00 |
0.000 |
0.00 |
0.210 |
১৫০ |
০ |
৩ |
০ |
৩৫ |
০ |
0.000 |
অর্জন |
০.০০ |
0.000 |
0.00 |
0.000 |
১৮ |
০ |
০ |
০ |
৩ |
০ |
0.000 |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
০.০০ |
0.000 |
0.00 |
0.202 |
৭৯ |
০ |
০ |
০ |
২৬ |
০ |
0.000 |
|
সর্বমোট |
লক্ষ্যমাত্রা |
9.00 |
1.500 |
1.00 |
2.000 |
1620 |
40 |
30 |
1 |
250 |
1 |
20.000 |
অর্জন |
0.00 |
0.350 |
0.00 |
0.000 |
164 |
1 |
3 |
0 |
26 |
0 |
0.000 |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
0.00 |
0.350 |
0.00 |
1.937 |
828 |
15 |
7 |
0 |
188 |
0 |
14.890 |
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি(Annual performance Agreement, APA) |
|
|
|
||||
জেলা |
|
সী-উইড চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ (পাইলটিং) |
বছর ব্যাপী বিশেষ মৎস্য সেবা প্রদান (প্রতি মাসে একটি) |
আবাসস্থল উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় জড়িত সুফলভোগী (সংখ্যা) |
মৎস্যজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি (জন) |
মৎস্যচাষী,মৎস্যজীবী, উদ্দোক্তদের প্রশিক্ষণ প্রদান (জন) |
রোগ দমনে পরিদর্শন ও পরামর্শ প্রদান (টি) |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
1 |
১২ |
১৩ |
১৪ |
১৫ |
১৬ |
১৭ |
সদর |
লক্ষ্যমাত্রা |
0.20 |
৮ |
০ |
৫০ |
২০০ |
১৫ |
অর্জন |
0.00 |
০ |
০ |
০ |
০ |
১ |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
0.20 |
৩ |
০ |
৪০ |
৬০ |
৬ |
|
চকরিয়া |
লক্ষ্যমাত্রা |
0.00 |
৮ |
১০০ |
০ |
২০০ |
১৫ |
অর্জন |
0.20 |
১ |
০ |
০ |
৬০ |
২ |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
0.20 |
৫ |
০ |
০ |
১২০ |
২ |
|
মহেশখালী |
লক্ষ্যমাত্রা |
0.20 |
৮ |
১০০ |
০ |
২০০ |
১০ |
অর্জন |
0.00 |
০ |
০ |
০ |
০ |
২ |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
0.20 |
২ |
০ |
০ |
৮০ |
৬ |
|
টেকনাফ |
লক্ষ্যমাত্রা |
0.20 |
৮ |
০ |
৫০ |
২০০ |
১০ |
অর্জন |
0.00 |
০ |
০ |
০ |
০ |
১ |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
0.20 |
২ |
০ |
০ |
২০ |
৭ |
|
পেকুয়া |
লক্ষ্যমাত্রা |
0.00 |
৮ |
৩০ |
০ |
২০০ |
১০ |
অর্জন |
0.00 |
০ |
০ |
০ |
০ |
০ |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
0.00 |
২ |
০ |
০ |
৬০ |
১০ |
|
উখিয়া |
লক্ষ্যমাত্রা |
0.20 |
৮ |
৩০ |
৫০ |
২০০ |
১০ |
অর্জন |
0.20 |
১ |
০ |
০ |
০ |
০ |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
0.20 |
৫ |
০ |
০ |
৬০ |
১০ |
|
রামু |
লক্ষ্যমাত্রা |
0.20 |
৮ |
০ |
০ |
১৬০ |
৮ |
অর্জন |
0.00 |
১ |
০ |
০ |
০ |
০ |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
0.00 |
৬ |
০ |
০ |
১০০ |
৪ |
|
কুতুবদিয়া |
লক্ষ্যমাত্রা |
0.00 |
৭ |
০ |
০ |
২৪০ |
৫ |
অর্জন |
0.00 |
০ |
০ |
০ |
০ |
১ |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
0.00 |
২ |
০ |
০ |
১১০ |
৫ |
|
সর্বমোট |
লক্ষ্যমাত্রা |
1.00 |
63 |
260 |
150 |
1600 |
83 |
অর্জন |
0.40 |
3 |
0 |
0 |
60 |
7 |
|
ক্রমপুঞ্জিত |
1.00 |
27 |
0 |
40 |
610 |
50 |
কক্সবাজার জেলায় মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকান্ডের বিবরণ
১। কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র বিতরণের বর্তমান পরিস্থিতি (ডিসেম্বর/২০২০খ্রি. পর্যন্ত আপ-টু-ডেট) :
নং |
উপজেলার নাম |
নিবন্ধন সম্পন্ন |
ছবি তোলা সম্পন্ন- |
পরিচয়পত্র বিতরণ - |
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
১। |
সদর |
৭,১২০ জন |
৪,৬৬৫ জন। |
২,৩৬৮ টি। |
২। |
মহেশখালী |
১১,৪৪২ জন |
৮,১০৫ জন। |
৫,৮০৯ টি। |
৩। |
চকরিয়া |
৩,৮৫৭ জন |
২,৬১৪ জন। |
২,০৮৪ টি। |
৪। |
টেকনাফ |
৭,৮৮৩ জন |
৫,৭৩৬ জন। |
৪,৩৭২টি। |
৫। |
উখিয়া |
৩,৩৯২ জন |
২,৭০০ জন। |
১,০৫০ টি। |
৬। |
রামু |
২,২৭৩ জন |
১,৯৮৯ জন। |
৯৬৩ টি। |
৭। |
পেকুয়া |
৩,৯৬৭ জন |
২,৬৩৭ জন। |
১,৮৩৭ টি। |
৮। |
কুতুবদীয়া |
৮,৪৫৯ জন |
৩,১০০ জন। |
২,৪৬৪ টি। |
|
মোটঃ |
৪৮,৩৯৩ জন |
৩১,৫৪৬ জন। |
২০,৯৪৭ টি। |
এছাড়া কাযক্রমের আওতায় মৎস্য আহরণকালে নিহত/অক্ষম জেলের পরিবারকে এককালীন আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে। ২০২০-২০২১ আর্থিক সালে এরূপ স্থানীয় ১৪টি জেলে পরিবারকে (মৃত জেলে পরিবারকে ৫০,০০০/- হারে এবং অক্ষম জেলে পরিবারকে ২৫,০০০/- হারে) মোট ৬,২০,০০০/- আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
২। সামুদ্রিক মৎস্য জরিপ ব্যবস্থাপনা ইউনিট-কক্সবাজার এর আওতায়
কক্সবাজার জেলায় এ প্রকল্পের কার্যক্রম নিমণলিখিত উপজেলাসমূহে বিসত্মৃত-
|
|
|
|
|
|
এর আওতায় সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের মজুদ নির্ধারণে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন নির্বাচিত স্থান থেকে নিয়মিত মৎস্য আহরণের তথ্য ও ‘‘অবতরণ-উপাত্ত’’ সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
এর বিবরণঃ
নং |
উপজেলা |
উপাত্ত সংগ্রহের স্পট সংখ্যা |
উপাত্ত সংগ্রহের মাত্রা |
সংগৃহীত উপাত্তের বিবরণ |
১। |
সদর |
২টি |
মাসে ৮ দিন |
জাল ও নৌযানের তথ্য, মাছের প্রকার, প্রজাতি ও পরিমাণ, দৈর্ঘ্য, ওজন, গোনাডের ওজন, পরিপক্কতার ধাপ ইত্যাদি। |
২। |
উখিয়া |
১টি |
মাসে ৮ দিন |
জাল ও নৌযানের তথ্য, মাছের প্রকার, প্রজাতি ও পরিমাণ। |
৩। |
টেকনাফ |
৩টি |
মাসে ৮ দিন |
জাল ও নৌযানের তথ্য, মাছের প্রকার, প্রজাতি ও পরিমাণ, দৈর্ঘ, ওজন, গোনাডের ওজন, পরিপক্কতার ধাপ ইত্যাদি। |
৪। |
চকরিয়া |
১টি |
মাসে ৮ দিন |
-ঐ- |
৫। |
মহেশখালী |
২টি |
মাসে ৮ দিন |
-ঐ- |
৬। |
কুতুবদীয়া |
১টি |
মাসে ৮ দিন |
-ঐ- |
৫। ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পঃ
কক্সবাজার জেলার প্রতিটি উপজেলায় এ প্রকল্পের আওতায় ২২ জন লীফ নিয়োগ করা হয়েছে এবং প্রকল্পের অর্থায়নে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। কক্সবাজারের পিসিআর ল্যাবরেটরীকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ডরমিটরীতে পরিণত করা হয়েছে। উক্ত প্রকল্প থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত ৭৫ জন ক্ষেত্র সহকারীকে ১০ দিন মেয়াদী দক্ষতা/বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ২০২০-২১ আর্থিক সালেও বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।
৬। কলাতলী কাকড়া হ্যাচারি
৭। জাতীয় কৃষি প্রযুক্তি প্রকল্প (এনটিপি) মৎস্য অধিদপ্তর অংশঃ
কক্সবাজার জেলায় ২০২০-২১ সালে বাসত্মবায়িত মৎস্য উন্নয়ন বিষয়ক অন্যান্য কর্মকান্ড
১। রুই জাতীয় মাছের পোনা বিতরণ কার্যক্রমঃ
সরকারের রাজস্ব অর্থে রুই জাতীয় মাছের পোনা বিতরণ কার্যক্রমের আওতায় সালে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়ে রম্নই জাতীয় মাছের পোনা বিতরণের উপজেলা ভিত্তিক তথ্যঃ
নং |
উপজেলা |
জলাশয়ের সংখ্যা (টি) |
জলায়তন (হেক্টর) |
পোনার সংখ্যা (টি) |
পোনার ওজন (কেজি) |
পোনার মূল্য (টাকা) |
সুফলভোগীর সংখ্যা (জন) |
১. |
সদর |
৪৫ |
১৬.৯৯ |
১০৯০০ |
২৪৩ |
১,০০,০০০/- |
৮৭০ |
২. |
উখিয়া |
৬০ |
১৪.৫৯ |
৭৪০০ |
২১৩ |
১,০০,০০০/- |
২৬৯০ |
৩. |
পেকুয়া |
৩৭ |
১.৩৭ |
১৮৪০০ |
৩৩৫ |
১,০০,০০০/- |
৯৭১০ |
৪. |
মহেশখালী |
৪৩ |
১৬.২৪ |
৯০০০ |
১৮০.৫ |
১,০০,০০০/- |
৭৫০ |
৫. |
চকরিয়া |
৫২ |
২১.২৯ |
১৪০০০ |
২৬৩ |
১,০০,০০০/- |
৩১০০০ |
৬. |
টেকনাফ |
৫৬ |
১৫.৪৫ |
৯০০০ |
২০৪ |
১,০০,০০০/- |
১১২০ |
৭. |
রামু |
৫৪ |
৪১৭.৬১ |
১৮৪০০ |
২১০ |
১,০০,০০০/- |
১১০০ |
৮. |
কুতুবদীয়া |
৪১ |
১৪.১৩ |
১২৩০০ |
১৯০ |
১,০০,০০০/- |
২৭০০০ |
|
মোটঃ |
৩৮৮ |
৫১৭.৬৭ |
৯৪৩০০ |
১৮৩৮.৫ |
৮,০০,০০০/- |
৭৪২৬০ |
২। মা-ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমঃ
প্রধান প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ রক্ষার উদ্দেশ্যে ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে ০৪ নভেম্বর ২০২০ পযন্ত ২২ দিন ব্যাপী সারাদেশে মা ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিক্রয় ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়। এ কার্যক্রমের আওতায় কক্সবাজার জেলায় গৃহীত ব্যবস্থাদির উপজেলা ভিত্তিক তথ্য
ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান কাযক্রম এর দৈনিক অভিযান/মোবাইল কোর্ট সংক্রান্ত প্রতিবেদন |
|||||||||||||
বিভাগ : চট্টগ্রাম |
|
তারিখ-১৪ অক্টোবর হতে ০৪ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত |
চুড়ান্ত |
||||||||||
ক্র: নং |
উপজেলার |
মোবাইল কোর্ট |
অভিযান |
আটককৃত মাছ |
আটককৃত জাল |
মামলার |
জরিমানা |
জেল |
নিলামকৃত |
||||
ইলিশ |
অন্যান্য মাছ |
কারেন্ট জাল |
অন্যান্য জাল |
মূল্য |
|||||||||
1 |
2 |
3 |
4 |
5 |
6 |
7 |
8 |
9 |
10 |
11 |
12 |
13 |
|
1 |
সদর |
1 |
23 |
0 |
2.06 |
7.52 |
26 |
188.8 |
0 |
0 |
0 |
0 |
|
2 |
চকরিয়া |
1 |
11 |
0 |
0 |
1 |
12 |
36.2 |
0 |
0.1 |
0 |
0 |
|
3 |
মহেশখালী |
3 |
25 |
0.005 |
0.03 |
0.875 |
60 |
42.25 |
3 |
0.09 |
0 |
0 |
|
4 |
টেকনাফ |
2 |
22 |
0.015 |
0 |
2.22 |
0 |
66.6 |
0 |
0 |
0 |
0 |
|
5 |
পেকুয়া |
2 |
19 |
0 |
0.35 |
3 |
128 |
52.4 |
7 |
0.17 |
0 |
0 |
|
6 |
রামু |
0 |
22 |
0.004 |
0 |
0.27 |
37 |
30.7 |
0 |
0 |
0 |
0 |
|
7 |
উখিয়া |
0 |
20 |
0 |
0 |
0.14 |
0 |
4.9 |
0 |
0 |
0 |
0 |
|
8 |
কুতুবদিয়া |
0 |
23 |
0 |
0 |
0 |
56 |
10.55 |
0 |
0 |
0 |
0 |
|
মোট= |
9 |
165 |
0.024 |
2.44 |
15.025 |
319 |
432.4 |
10 |
0.36 |
0 |
0 |
কক্সবাজার জেলায় উক্ত কার্যক্রম পরিচালনার বিশেষত্ব সমূহঃ
৩। মৎস্য হ্যাচারি আইন ২০১০ এর আওতায় হ্যাচারি নিবন্ধন কার্যক্রমঃ
উক্ত আইনের আওতায় চিংড়ি, কার্পজাতীয় ও তেলাপিয়া মাছের হ্যাচারিসমূহকে নিবন্ধনের আওতায় এনে সনদ প্রদান ও নবায়ন করা হয়, উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়মিত পরিদর্শন করা হয় এবং উৎপাদিত পোনার মান রক্ষার নিমিত্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ডিসেম্বর/২০২০খ্রি. পর্যমত্ম সময়ে কক্সবাজার জেলায় উক্ত আইনের আওতায় চিংড়ি/মৎস্য হ্যাচারি নিবন্ধনের তথ্য নিমণরূপ -
নং |
প্রতিষ্ঠানের বিবরণ |
মোট সংখ্যা |
চালু প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা |
নিবন্ধনকৃত |
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
১। |
বাগদা চিংড়ি হ্যাচারি |
৪৩ |
৩৬ |
৪৩ |
২। |
গলদা চিংড়ি হ্যাচারি |
১ |
১ |
১ |
৩। |
মনোসেক্স তেলাপিয়া হ্যাচারি |
১০ |
৯ |
১০ |
৪। |
কার্প হ্যাচারি |
৩ |
৩ |
৩ |
৪। মৎস্য খাদ্য ও পশুখাদ্য আইন ২০১০ বাসত্মবায়নঃ
উক্ত আইনের আওতায় মৎস্যখাদ্য উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন করা হয়, উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়মিত পরিদর্শন করা হয় এবং মৎস্যখাদ্যের নমুনা সংগ্রহপূর্বক পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ডিসেম্বর/২০২০ পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় উক্ত আইনের আওতায় লাইসেন্স প্রদানের তথ্য নিমণরূপ -
নং |
প্রতিষ্ঠানের বিবরণ |
মোট সংখ্যা |
লাইসেন্সকৃত |
১ |
২ |
৩ |
৪ |
১। |
মৎস্য খাদ্য প্রস্ত্ততকারী কারখানা |
১ |
১ |
২। |
মৎস্য খাদ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান |
১০ |
১০ |
৩। |
পাইকারি মৎস্য খাদ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান |
১৭ |
১৭ |
৪। |
খুচরা মৎস্য খাদ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান |
১২ |
১২ |
৫। কক্সবাজার জেলায় মৎস্য খাতে ঋণ বিতরণ ও আদায়ের ২০১৯-২০ সালের তথ্যঃ
৬। পি.সি.আর. ল্যাবরেটরী পরিচালনাঃ
চিংড়িতে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্তকরণ এবং চাষিদের ভাইরাসমুক্ত বাগদা চিংড়ি পি.এল. প্রাপ্তি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার সদরে অবস্থিত কলাতলী হ্যাচারি জোনে মৎস্য অধিদপ্তরের পি.সি.আর. ল্যাবরেটরী স্থাপিত হয়েছে। বাগদা চিংড়ি হ্যাচারি ও খামারের চিংড়ি বা পি,এল. এর ভাইরাস সনাক্তকরণের কাজে বর্তমানে এ ল্যাবরেটরী থেকে স্থানীয় হ্যাচারি মালিক ও চিংড়ি চাষিদের নিয়মিত সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
৭। SPF মাদার চিংড়ি উন্নয়ন কার্যক্রমঃ
চিংড়ি সম্পদকে ভাইরাসমুক্ত করার উদ্দেশ্যে ভাইরাসমুক্ত চিংড়ি পোনা উৎপাদনের নিমিত্ত ভাইরাসমুক্ত মাদার চিংড়ির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই থেকে ভাইরাসমুক্ত SPF (Specific Pathogen Free) মাদার চিংড়ি আমদানি করে এর উন্নয়নের জন্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্থানীয় একটি চিংড়ি হ্যাচারিকে অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তরের নিবিড় মনিটরিং এ সম্প্রতি উক্ত হ্যাচারিতে ২য় প্রজন্মের পোনা থেকে মাদার চিংড়ি উন্নয়নের কাজ চলছে। এর পাশাপাশি উক্ত কার্যক্রমের আওতায় উৎপাদিত ভাইরাসমুক্ত SPF চিংড়ি পি.এল বিভিন্ন অর্ধ-নিবিড় চিংড়ি খামারে সরবরাহ করা হচ্ছে। এসব খামারের উৎপাদন কার্যক্রম বর্তমানে স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরের মনিটরিং এর আওতায় রয়েছে।
৮। উপকূলীয় অর্ধ-লবণাক্ত পানিতে বাগদা চিংড়ি চাষ ব্যবস্থাপনাঃ
কক্সবাজার জেলায় উপকূলীয় অর্ধ-লবণাক্ত পানিতে বাগদা চিংড়ির চাষ স্থানীয় জনজীবনে গুরম্নত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কর্মকান্ড এবং কর্মসংস্থানের একটি অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। এ এলাকায় খামারে একক বাগদা চিংড়ি চাষের পাশাপাশি ধানক্ষেতে বাগদা চিংড়ি চাষ এবং লবণ চাষের জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষের প্রচলন রয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তরের সহায়তায় চিরমত্মনী সনাতন পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে এ জেলায় সম্প্রতি উন্নত-সম্প্রসারিত ও অর্ধ-নিবিড় পদ্ধতিতে বাগদা চিংড়ি চাষের প্রতি সাধারন চাষিদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হেক্টারপ্রতি বার্ষিক উৎপাদনও ৩০০/৪০০ কেজি থেকে ইতোমধ্যে ৮,০০০ কেজিতে উন্নীত হয়েছে।
৯। নিরাপদ ও মানসম্মত শুটকী উৎপাদনঃ
‘‘শুটকীমাছ’’ কক্সবাজার জেলার একটি অন্যতম অর্থনৈতিক পণ্য। নিরাপদ ও মানসম্মত শুটকী উৎপাদনে স্থানীয়ভাবে মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন সম্প্রসারণমূলক কর্মকান্ড রয়েছে। এর মধ্যে প্রশিক্ষণ, গণসচেতনতা সৃষ্টি, মূলধন সংগ্রহে সহায়তা ইত্যাদি অন্যতম। মৎস্য অধিদপ্তরের প্রযুক্তিগত ও সম্প্রসারণ সহায়তায় এ সেক্টারটি উত্তরোত্তর আরো উন্নত হওয়ার আশা রয়েছে।
১০। সামুদ্রিক মৎস্য নৌযানের লাইসেন্স প্রদান এবং সামুদ্রিক মৎস্য আইন বাসত্মবায়নঃ
কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত পৃথিবীর দীর্ঘতম সামুদ্রিক বেলাভূমি সংলগ্ন উপকূলবর্তী অগভীর জলরাশি বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মৎস্য ও চিংড়ির চারণভূমি। বিপুল সংখ্যক যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযান প্রতিনিয়ত এ জলাভূমি থেকে প্রচুর পরিমাণে সামুদ্রিক মাছ ও চিংড়ি আহরণ করে থাকে। কক্সবাজার জেলা সদরে অবস্থিত সামুদ্রিক মৎস্য অবতরনকেন্দ্র সারাদেশের বৃহৎ অবতরন কেন্দ্র সমূহের মধ্যে অন্যতম। স্থানীয়ভাবে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের সাথে জড়িত মৎস্যজীবিগোষ্ঠি কর্তৃক সামুদ্রিক মৎস্য আইন বাসত্মবায়ন, বৈধ সরঞ্জাম ব্যবহার এবং অবৈধ সরঞ্জাম পরিহার, নৌযানের লাইসেন্স করা ও মেয়াদ-উত্তীর্ণ লাইসেন্স নবায়ন করা ইত্যাদি স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যতম গুরম্নত্বপূর্ণ কার্যক্রমের অংশ। এ কার্যক্রমের আওতায় চলতি ২০২০-২১ সময়ে কক্সবাজার জেলায় লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
১১। টেকনাফ বন্দরে মায়ানমার থেকে আমদানিকৃত মৎস্য ও মৎস্যপণ্যে নিয়মিত ফরমালিনের উপস্থিতি পরীক্ষাঃ
মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আমদানিকৃত মৎস্য পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ, বিশেষতঃ উক্ত আমদানিকৃত মৎস্য পণ্যে ফরমালিনের উপস্থিতি পরীক্ষা করে সনদ প্রদান মৎস্য অধিদপ্তরের একটি গুরম্নত্বপূর্ণ দায়িত্ব। উক্ত কার্যক্রমের বিসত্মারিত তথ্য নিমণরূপ -
নং |
বিবরণ |
ডিসেম্বর/২০২০ |
জুলাই/২০২০ হতে ডিসেম্বর/২০২০ |
১। |
রুই জাতীয় মাছ আমদানি |
----- মে.টন। |
২১.০০ মে.টন |
২। |
কালোচান্দা আমদানি |
২.৬৮ মে.টন। |
৬.৮০৫ মে.টন |
৩। |
ইচরি-মোলা শুটকি আমদানি |
১৪.৫৩৮ মে.টন। |
১৯২.৩৬৩ মে.টন |
|
১২। মৎস্য সংরক্ষণ আইন ও সামুদ্রিক মৎস্য আইন বাসত্মবায়নঃ
মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে বিভিন্ন মৎস্য আইন বাসত্মবায়নের কার্যক্রম সমন্বয় করা মৎস্য অধিদপ্তরের উপরে আরোপিত গুরম্নত্বপূর্ণ দায়িত্ব সমূহের অমত্মর্ভূক্ত। এ কর্মকান্ডের মধ্যে সম্প্রসারণ, গণসচেতনতা সৃষ্টিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা, লিফলেট/পোষ্টার/ প্রচারপত্র বিতরণ ইত্যাদি কার্যক্রম রয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, বাংলাদেশ কেস্টগার্ড, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ইত্যাদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে বিভিন্ন স্থানে অভিযান ও মোবাইলকোর্ট ইত্যাদি পরিচালনা করা হয়ে থাকে। বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন মৎস্যআইনের মধ্যে রয়েছে-
১৩। মৎস্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনাঃ
মৎস্য বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারণমূলক কর্মকান্ডের মধ্যে অত্যমত্ম গুরম্নত্বপূর্ণ। সরকারের রাজস্ব অর্থে এবং বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থায়নে কক্সবাজার জেলায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয়ের উপরে চাষি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। এসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে-
১৪। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপনঃ
মৎস্য চাষ এবং মৎস্য সংরক্ষণের নীতিমালার সাথে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে মৎস্য উন্নয়ন বিষয়ক কার্যক্রমকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করার বৃহত্তর উদ্দেশ্যে প্রতিবছর নির্দিষ্ট একটি সপ্তাহকে ‘‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ’’ হিসেবে উদযাপন করা হয়। উক্ত সপ্তাহে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে মৎস্য উন্নয়ন বিষয়ক কার্যক্রমে সার্বিক জনসাধারনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
১৫। অন্যান্য মৎস্য সম্প্রসারণ মূলক কার্যক্রমঃ
মৎস্য উন্নয়ন বিষয়ক কার্যক্রম সম্প্রসারণ করাই মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। লাগসই প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে মৎস্য উন্নয়নের গতিধারা সচল রাখার উদ্দেশ্যে যেসব উলেস্নখযোগ্য কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালিত হয়ে থাকে, এর মধ্যে রয়েছে -
১৬। বরফকল এবং মৎস্য/চিংড়ি ডিপো/আড়ত ইত্যাদির কার্যক্রম মনিটরিং এবং উৎপাদিত পণ্যের মাননিয়ন্ত্রণঃ
কক্সবাজার জেলায় ৫৯টি বরফকল, ৩৭২টি মৎস্য/চিংড়ি ডিপো এবং ৬টি মৎস্য/চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ কারখানা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের উপরে মৎস্য/চিংড়ি পণ্যের মাননিয়ন্ত্রণ নির্ভর করে। চট্টগ্রামস্থ মৎস্য অধিদপ্তরাধীন মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দপ্তর কর্তৃক এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রদান করা হয়। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করার দায়িত্ব স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরীয় দপ্তর সমূহের উপরে ন্যস্ত। তাই স্থানীয় মৎস্য দপ্তর সমূহ কর্তৃক এসব প্রতিষ্ঠান মৎস্য ও মৎস্যপণ্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী পরিচালনার কাজ মনিটরিং করা হয়।
১৭। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ জরীপ ব্যবস্থাপনা ইউনিট (ল্যান্ডিং ডাটা সংগ্রহ ও জরীপ কার্যক্রম)ঃ
বাংলাদেশ মেরিন ফিশারীজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রকল্পের কর্মকান্ড ছাড়াও কক্সবাজারে অবস্থিত মৎস্য অধিদপ্তরের সামুদ্রিক মৎস্য জরীপ ব্যবস্থা ইউনিটের সাহায্যে কক্সবাজার জেলার ৬টি স্থান থেকে নিয়মিত ল্যান্ডিং-ডাটা সংগ্রহ করে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের মজুদ নির্ধারণের কাজে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও উক্ত ইউনিটের তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার জেলা সদরে দুষ্প্রাপ্য সামুদ্রিক মৎস্য প্রজাতির একটি যাদুঘর রয়েছে।
১৮। ১০ ও ১১ একর চিংড়ি এস্টেট ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাসত্মবায়নঃ
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলাধীন রামপুর মৌজায় মৎস্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন ৭,০০০ একর জমিতে ১০ একর বিশিষ্ট ৩৪২টি, ১১ একর বিশিষ্ট ১১৯টি, ৩০ একর বিশিষ্ট ৩২টি এবং ৩০০ একর বিশিষ্ট ১টি চিংড়ি পস্নট সম্প্রতি ৫২৩ জন চিংড়ি চাষি/সমিতি/কোম্পানির নিকট ৩য় বার ২০ বৎসর মেয়াদে ইজারা প্রদানের মেয়াদ নবায়নের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
উক্ত চিংড়ি পস্নট সমূহে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রশাসনিক ও রাজস্ব আদায়ের কার্যক্রমের পাশাপাশি উন্নত পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে বাগদা চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
১৯। কক্সবাজার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মৎস্য অধিদপ্তরের জনবলের পরিস্থিতিঃ
ইং |
দপ্তর |
১ম শ্রেণি |
২য় শ্রেণি |
৩য় শ্রেণি |
৪র্থ শ্রেণি |
মোট |
||||||||||
মোট পদ |
কর্ম রত |
শূন্য পদ |
মোট পদ |
কর্মরত |
শূন্য পদ |
মোট পদ |
কর্মরত |
শূন্য পদ |
মোট পদ |
কর্ম রত |
শূন্য পদ |
মোট পদ |
কর্ম রত |
শূন্য পদ |
||
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
৬ |
৭ |
৮ |
৯ |
১০ |
১১ |
১২ |
১৩ |
১৪ |
১৫ |
১৬ |
১৭ |
১. |
জেলা দপ্তর |
৫ |
১ |
৪ |
২ |
০ |
২ | ৫ |
৩ |
২ |
২ |
১ |
১ |
১৪ |
৫ |
৯ |
২. |
সদর উপজেলা |
২ |
১ |
১ |
১ |
০ |
১ |
২ |
২ |
০ |
১ |
১ |
০ |
৬ |
৪ |
২ |
৩. |
চকরিয়া |
২ |
১ |
১ |
১ |
০ |
১ |
২ |
২ |
০ |
১ |
০ |
১ |
৬ |
৩ |
৩ |
৪. |
মহেশখালী |
২ |
২ |
০ |
১ |
০ |
১ |
২ |
১ |
১ |
১ |
১ |
০ |
৬ |
৪ |
২ |
৫. |
পেকুয়া |
২ |
১ |
১ |
১ |
০ |
১ |
২ |
১ |
১ |
১ |
১ |
০ |
৬ |
৩ |
৩ |
৬. |
টেকনাফ |
২ |
০ |
২ |
১ |
১ |
০ |
২ |
১ |
১ |
১ |
০ |
১ |
৬ |
২ |
৪ |
৭. |
উখিয়া |
২ |
১ |
১ |
১ |
০ |
১ |
২ |
০ |
২ |
১ |
০ |
১ |
৬ |
১ |
৫ |
৮. |
রামু |
২ |
১ |
১ |
১ |
০ |
১ |
২ |
১ |
১ |
১ |
০ |
১ |
৬ |
২ |
৪ |
৯. |
কুতুবদিয়া |
২ |
২ |
০ |
১ |
০ |
১ |
২ |
০ |
২ |
১ |
১ |
০ |
৬ |
৩ |
৩ |
মোটঃ |
২১ |
১০ |
১১ |
১০ |
১ |
৯ |
২১ |
১১ |
১০ |
১০ |
৫ |
৫ |
৬২ |
২৭ |
৩৫ |